Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

কী সেবা কীভাবে পাবেন

সেবা / কর্মসূচীর সংক্ষিপ্ত ভূমিকা

 

 

 

( ১ )      কাবিখাঃ-  কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী দেশের প্রথম এবং অন্যতম সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী । দেশের স্বাধীনতা পরবর্তী গ্রামীন বাস্তা ঘাট মেরামত এবং খাল খননের মাদ্যমে দরিদ্র জনগোষ্টিকে খাদ্য সহায়তা প্রদান শুরু করা হয় । স্বাধীনতা উত্তর দরিদ্র জনগোষ্টির সরকারী ভাবে কর্মসংস্থানের একমাত্র উপায়ছিল কাবিখা কর্মসূচী । দেশের বিদ্যমান সকল কাঁচা রাস্তা এবং বিভিন্ন বিভাগের মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রায় সকল রাস্তার মাটির কাজ করা হয়েছে কাবিখা কর্মসূচীর মাধ্যমে । বর্তমানে দেশে চলমান সামাজিক নিরাপত্তা মূলক কর্মসূচীর মধ্যে অন্যতম কর্মসূচী এটি । কর্মহীন সময়ে দারিদ্র শ্রমজীবি জনগোষ্টির সহায়ক একটি নাম কাবিখা । ১৯৭৫ সাল হতে অদ্যবধি গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে অন্যতম সহায়ক ভূমিকা  রাখছে এই কর্মসূচী । উপজেলা পর্যায়ে অবকাঠামো উন্নয়নে ধারক এবং মাদার বলা হয় কাবিখা কর্মসূচীকে । উপজেলা পর্য়ায়ে যদি জনবল বৃদ্ধি করা হয় ,তাহলে এই কর্মসূচী আরো বেগমান ও অর্থবহ হবে । সেই সাথে এই কর্মসূচীর মাধ্যমে গ্রামীন জনগোষ্টির দারিদ্র দূরীকরন করা সম্ভব হবে ।

 

 

 

২। টেষ্ট রিলিফঃ- দেশের অন্যতম আরেক খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসূচীর নাম টেষ্ট রিলিফ বা টি,আর । ১৯৭৭-৭৮ সালের দিকে এ কর্মসূচী চালু করা হয় । এই কর্মসূচীর মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠির খা্দ্য নিরাপত্তা যেমন জোড়দার করেছে সেই সাথে গ্রামীন রেছাট রাস্তার মেরামত করে জীবন যাত্রার সচল রেখেছে । রাস্তা ঘাট মেরামতের পাশাপাশি জনকল্যান মূলক প্রতিষ্ঠান ,ধর্মীয় ও শিক্ষা মূলক প্রাতিষ্ঠান মেরামত উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে । উপজেলা পর্যায়ে অবস্থিত এমন কোন শিক্ষা ,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পাওয়া যাবেনা যেখানে টি,আর কর্মসূচীর মাধ্যমে সহায়তা করা হয়নি । খাদ্যশস্য বরাদ্দের পাশাপাশি নগদ টাকা প্রদানের মাধ্যমেও দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে কর্মসংস্থানের আওতায় আনা হয়েছে । এবং সেই সাথে গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে । 

 

 

 

৩। অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীঃ- ২০০৮ সালে ‘‘ ১০০ দিনের কর্মসূচী’’ নামে সবর্বৃহত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী চালু হয়  পরবর্তীতে ‘‘ অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীর ’’ নাম করন করা হয় । বছরে দুইবার  যথা অক্টোবর নভেম্বর এবং মার্চ এপ্রিল এই কর্মসূটী দুটি সময়ে বাস্তবায়ন করা হয় । উল্লিখিত সময়ে গ্রা্মীন জনপটে দরিদ্র শ্রমজীবি মানুষের কর্মসংস্থানের কোন সুযোগ থাকেনা ফলে দেশের জনসংখ্যার বৃহৎ একটি অংশ হয়ে পড়ে কর্মহীন । এই কর্মসংস্থার ফলে উত্তর বঙ্গেসৃষ্টি হয়েছিল বহুল আলোচিত মঙ্গা । এই কর্মসূচী চালুর ফলে কর্মহীন সময়ে সৃষ্টি করা হয়েছে কর্মসংস্থানের । গ্রাম বাংলার প্রচলিত আশ্বিন কার্তিকের আর চৈত্রের অভাবে অনটনের কাহিনি মুছে যাচ্ছে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীর বদৌলতে । আজ আর উত্তর বঙ্গে মঙ্গার প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে না । উত্তর বঙ্গসহ সমগ্রদেশের দরিদ্র শ্রমজীবি মানুষের আশার সঞ্চার করেছে এই কর্মসূচীর মাধ্যমে । এই কর্মসূচীর মাধ্যমে প্রতিজন শ্রমিক ১৫০/- টাকা হারে সপ্তাহে ৫দিন গ্রামীন রাস্তা ,মাঠ,ঘাট ,খালসহ নানা সৃষ্টিশীল কাজে নিয়োজিত থাকে । সর্বোচ্চ সচ্ছতা বিধানের জন্য প্রত্যেক শ্রমিকের নামে নিকটস্থ ব্যাংকে হিসাব খোলা হয় । সপ্তাহের শেষদিন শ্রমিকদের হিসাবে সরাসরি টাকা স্থানান্তর করা হয় । ফলে কোন রকম অনিয়ম, কিংবা ভোগান্তি শিকার হতে হয়না শ্রমজীবি মানুয়ের । এই কর্মসূচীর সফলতা এবং সচ্ছতায় বিশ্ব ব্যাংক সন্তোষ্ট হয়ে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি অর্থায়ন শুরু করেছে । এই কর্মসূচীকে আরো বেগবান  ও সফলময় করে তোলার জন্য নানা উদ্দ্যোগ অব্যহত রয়েছে

 

সেতু কালভার্ট নির্মানঃ- কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী দ্বারা  বাস্তবায়িত কাচা রাস্তাকে অধিক চলাচলের উপযোগী করার জন্য সেতু কালবার্ট নির্মান কর্মসূচী হাতে নেয়া হয় । ১৯৯৪ সাল হতে গ্রামীন রাস্তায় সর্বোচচ ১০( দশ ) মিটার পর্যন্ত আর,সি,সি ব্রীজ /কালভার্ট নির্মান কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে । ১৯৯৪ হতে ২০১০-২০১১ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫৮৭৫টি ছোট বড় ব্রীজ/কালভার্ট নির্মান করা হয়েছে । এছাড়া ১৯৯৪ সালের পূর্বে ও ১০ মিটারের অধিক দৈর্ঘ্যের উল্লেখযোগ্য সেতু নির্মান করা হয়েছে । ফলে উপজেলা পর্যায়ে যোগোযাগ ব্যবস্থা হয়েছে কার্যকরী ও স্বাচ্ছন্দময় ।

 

 

ব্যারক হাউজ নির্মানঃ- আশ্রয়হীন গৃহীন জনগোষ্ঠির পূনর্বাসনের অন্য মাধ্যম ব্যারাক হাউজ নির্মান  । সরকারী খাস জমিত মাটি ভরাট করে সেখানে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকর্মকর্তা এই কর্মসূচী বাস্তবায়নকরে থাকেন ।

 

 

 

সাইক্লোন সেন্টার / বন্যাশ্রায় কেন্দ্রঃ- উপকহলীয় এলাকায় দূর্যোগ কালে সম্ভাব্য আক্রা্ন্ত লোকদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য নির্মান করা হয় সাইক্লোন সেন্টার । এ সেন্টার ফ্রেমষ্টাকসারের মাধ্যমে নীচ তলা ফাকা রেখে দ্বিতল অথবা তিনতলা বিশিষ্ট হয়ে থাকে । স্বাভাবিক সময়ে সেন্টারগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে ব্যবহার হয় । ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর হতে পি.পি.আর অনুযায়ী দরপত্র আহবানের মাধ্যমে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকর্মকর্তা এ সেন্টার নির্মান করে থাকেন ।

 

 

         সাইক্লোন সেন্টারের ন্যায সমতলের নিম্নাঞ্চলে বন্যাপ্রবন এলাকায় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মান করা হয় । এটিও স্বাবাবিক সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে ব্যবহত হয় । নির্মানও সাইক্লোন সেন্টারের ন্যয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নঅফিসারের সরাসরি তত্বাবধানে তৈরী করা হয় বন্যাশ্রয় কেন্দ্র  ।